ওয়েব ডেস্ক: দুর্গার আগে কারিগরি শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনায় মেতে উঠবে বাঙালি। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো (Viswakarma Puja)। কিন্তু তার আগে বিষণ্ণতার ছায়া গরিমা হারানো হাওড়া শিল্পাঞ্চলে (Howrah Industrial Area)। শ্রমিকদের মুখে নেই হাসি। বড় কারখানাগুলির অর্ডার কমে যাওয়ায় এবং বহু কারখানা বন্ধ থাকায় পুজোর জৌলুশ অনেকটাই ম্লান। প্রতিমা শিল্পীরাও জানিয়েছেন, এবার বড় প্রতিমার অর্ডার প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে অনেক কারখানায় ঘট পুজো বা ছোট প্রতিমা এনে পুজো সারার কথা ভাবা হচ্ছে।
এক সময় হাওড়ার শিল্পাঞ্চলকে বলা হত ‘শেফিল্ড অফ ইস্ট’। বিশ্বকর্মা পুজোয় কারখানাগুলি উৎসবের আবহে মুখরিত হত। শ্রমিকরা সারাদিন নাচ-গান ও খাওয়া-দাওয়ায় ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু এবছর রেকর্ড বৃষ্টির কারণে মধ্য হাওড়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলের কারখানায় জল জমে যাওয়ায় অনেক দিন কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং পুজোর খরচ বহন করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফাটল তোপ, মন্দিরে এলেন দেবী! প্রাচীন শহরে শুরু হল দুর্গাপুজো
ডোমজুড়ের মিনি কুমারটুলি বলে পরিচিত প্রশস্ত এর শিল্পীরা জানাচ্ছেন কয়েক বছর আগেও তারা অনেকগুলি বড় প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেতেন। তবে বড় কারখানা গুলি বন্ধ থাকায় সেভাবে বড় প্রতিমার অর্ডার পাচ্ছেন না। প্রতিমার সাইজ অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। কারখানা মালিকদের পুজোর বাজেট কম থাকায় এই সমস্যা।
ছোট কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, বড় কারখানাগুলি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি নতুন কারখানা তৈরি না হওয়ায় তাদের অর্ডার কমেছে। তাদের অনেকেই পূজার বাজেট কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক কারখানায় পূজোর জন্য প্রতিমার বদলে ঘট পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূজার আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও শ্রমিকরা হাল ছাড়তে চান না। তাঁদের একটাই প্রার্থনা—শিল্পে ফিরে আসুক পুরনো সুদিন। তাহলেই আবার উৎসবের আনন্দে মুখে ফুটবে হাসি।
দেখুন আরও খবর: